By: MD. Admin
Jan 24, 2024

কৃষি ডেস্কঃ সুস্থভাবে বাঁচার জন্য দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় প্রোটিন, অর্থাৎ আমিষ জাতীয় খাবার থাকাটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাংলাদেশের মতো নিম্ন আয়ের একটা দেশের সব মানুষ প্রতিদিন প্রোটিনের বন্দোবস্ত করতে পারে না। বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভাত জনপ্রিয় হওয়ায় প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ ধান উদ্ভাবনের চেষ্টা করছে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা। তারই অংশ হিসাবে ব্রি ধান ১০৭ ও ১০৮ নামের নতুন দুটি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। অন্য ধানের তুলনায় এসব ধানে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে সেটা মানুষের শরীরের আমিষ প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে পুষ্টি বিজ্ঞানীদের।বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) নতুন উদ্ভাবিত এই দু'টি জাতের ধানের একটি হলো ব্রি ধান ১০৭ ও অন্যটির নাম ব্রি ধান ১০৮। বিজ্ঞানীরা বলছেন, উভয় প্রজাতির ধান যেমন উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ, ঠিক তেমনি এগুলো উচ্চফলনশীলও। সেইসাথে, এই ধান থেকে চিকন এবং ঝরঝরে চাল হওয়ায় এগুলো বিদেশে রপ্তানিযোগ্য।

৯ জানুয়ারি’২৪ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত জাতীয় বীজ বোর্ডের ১১১তম সভায় এ ধানের জাতগুলো অনুমোদন করা হয়। এর ফলে ব্রি উদ্ভাবিত সর্বমোট ধানের জাতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১৫টি। নতুন জাত দুটো হলো ব্রি ধান ১০৭ এবং ব্রি ধান ১০৮। এদের মধ্যে প্রেটিনের পরিমাণ যথাক্রমে ১০.০২% এবং ৮.৮ %। এর আগে এর পরিমাণ পাওয়া গেছে ৮ বা ৮.২% । একজন মানুষের প্রাত্যহিক যে প্রোটিনের চাহিদা রয়েছে, এ জাতের ধানের ভাত খেলে সিংহভাগ প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে বলে জানিয়েছেন ব্রির মহাপরিচালক মোঃ শাহজাহান কবীর। খেটে খাওয়া অনেক মানুষ তাদের দেহের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারে না। তাদের জন্য এ জাত দুটি ভাতের সঙ্গে প্রোটিনেরও জোগান দিতে পারবে। ব্রির মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আব্দুল কাদের বলেন, একজন মানুষের দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা হলো ৫৮ গ্রাম। পরীক্ষা করে দেখা গেছে একজন মানুষ যদি গড়ে দৈনিক ৪০৫ গ্রাম এ জাতের চালের ভাত খায় তবে তার দেহের চাহিদার ৭০-৭৫ শতাংশ প্রোটিনের অভাব পূরণ হবে। ব্রি ধান ১০৭ ব্রির মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর জানান, ব্রি ধান ১০৭, প্রিমিয়াম কোয়ালিটি সম্পন্ন উফশী বালাম জাতের বোরো ধান। ব্রি ধান ১০৭-এর পূর্ণ বয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা ১০৩ সেমি। এর গড় জীবনকাল ১৪৩ দিন যা ব্রি ধান ৫০-এর সমান। এর ডিগ পাতা প্রশস্তু, খাড়া ও লম্বা এবং পাতার রং সবুজ। প্রতি হেক্টরে গড় ফলন ৮.১৯ টন, তবে এটি অনুকূল পরিবেশে উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে হেক্টর প্রতি ৯.৫৭ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম। পিভিটি পরীক্ষায় ১০টি অঞ্চলে #

 


Create Account



Log In Your Account