By: MD. Admin
Jan 9, 2024

রংপুর: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর বিভাগের তিন নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এবার বিভাগের ৩৩টি আসনের দশটিতে ১৫ জন নারী সরাসরি নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেন। এরমধ্যে ৫টি দলের হয়ে লড়েছেন নয়জন। আর বাকি ছয় নারী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যালট যুদ্ধে নির্বাচিত তিনজনের মধ্যে একজন আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং বাকি দুজন আওয়ামী লীগ মনোনীত। নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা হলেন- রংপুর-৬ আসনে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী (আ.লীগ), গাইবান্ধা-৩ আসনে উম্মে কুলসুম স্মৃতি (আ.লীগ) এবং গাইবান্ধা-১ আসনে আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার (স্বতন্ত্র-আ.লীগ)।সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ১ লাখ ৮ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৩২ ভোট।গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ১১৪ কেন্দ্রে ৬৬ হাজার ৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ঢেঁকি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার সাগর। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৪৯১ ভোট। গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ি-সাদুল্লাপুর) আসনে ৫৭ হাজার ১১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) মফিজুল হক সরকার ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৮২ ভোট।রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের আট জেলার ৩৩টি আসনে এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দেন ২৩ জন নারী। যাচাই-বাছাই, প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে ভোটে ছিলেন ১৫ জন। এরমধ্যে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ৩ জন নারী। বাকিদের মধ্যে ১০ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।জামানত হারানো নারীরা হলেন- রংপুর-১ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের শ্যামলী রায়, রংপুর-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাকিয়া জাহান চৌধুরী, গাইবান্ধা-১ আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আইরিন আক্তার, এনএনপির মর্জিনা খান, গাইবান্ধা-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাছুমা আক্তার, দিনাজপুর-৩ আসনে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির (এনপিপি) পারুল সরকার লিনা, দিনাজপুর-৪ আসনে এনপিপির আজিজা সুলতানা, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে জাতীয় পার্টির নুরুন নাহার বেগম, বাংলা‌দেশ কংগ্রেসের রিম্পা আকতার এবং ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশা মনি।এদিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ এর তৃতীয় সংশোধনী অনুসারে, রাজনৈতিক দলগুলোকে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব পদে অন্তত ৩৩ শতাংশ নারী রাখার কথা। তবে, বাস্তবতা ভিন্ন। কোনো বড় রাজনৈতিক দল এই বাধ্যবাধকতা পালন করতে পারেনি বা করছে না।রাজনৈতিক দলগুলোকে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব কমিটির পদে অন্তত ৩৩ শতাংশ নারী রাখার ব্যাপারে ২০২১ সালে নির্বাচন কমিশনের সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাধ্যবাধকতা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর বিভাগসহ সারা দেশে প্রতিদ্বন্দ্বী নারী প্রার্থীর সংখ্যা গত নির্বাচনের চেয়ে বেশি থাকলেও বিজয়ের সংখ্যা কম। এবার ৯৬ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে ১৯ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া স্থগিত একটি আসনে একজন নারী প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৬৯ জন নারী প্রার্থী সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২২ জন নির্বাচিত হয়েছিলেন।  সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) রংপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশফেকা রাজ্জাক বলেন, রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ উৎসাহিত করতে নয় বরং নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সব দলকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশে সর্বক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ও অগ্রগতি দৃশ্যমান। এ কারণে রাজনীতিতে নারীর সুযোগ বাড়াতে ৩৩ শতাংশ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাটা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।#


Create Account



Log In Your Account