By: MD. Admin
Dec 18, 2023

নিউজ ডেস্কঃ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির আসন ভাগাভাগির বিষয়টি কয়েকদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। নানান ঘটনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে রবিবার বিকালে নির্বাচন করার বিষয়টি পরিষ্কার করেছে জাতীয় পার্টি। দলের বনানী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি ২৮৭ আসনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবে। তবে, নির্দিষ্ট কিছু আসনে কৌশল গ্রহণ করা হবে। কি কৌশল গ্রহণ করা হবে- সে বিষয়ে তিনি খোলাসা করেননি।যদিও শনিবার বিকাল থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে জাপার শীর্ষনেতারা। ৬ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতার প্রথম বৈঠকে ৫০ জনের একটি তালিকা দেয় দলটি। কিন্তু গতকাল ২৬টির বেশি আসন দেওয়া হবে না বলে জাপাকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। এতেই ফুঁসে ওঠেন দলটির শীর্ষনেতারা। সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের গুলশানের বাসায় চলে শীর্ষ নেতাদের বৈঠক। রাত ৯টার দিকে জাপা মহাসচিব আওয়ামী লীগের এক শীর্ষনেতাকে সম্মানজনক আসন না পেলে নির্বাচনে না যাওয়ার কথা জানান। রাতের মধ্যেই সরকারকে সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়। গভীররাত পর্যন্ত ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে কোনো জবাব না পাওয়ায় নির্বাচন বর্জনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় দলটির শীর্ষনেতারা। শনিবারের মতো রবিবারও নির্বাচন বর্জনের দাবি জানিয়ে বনানী কার্যালয়ে বিক্ষোভ করে দলটির নেতাকর্মীরা। সরেজমিনে বনানী কার্যালয়ে দেখা গেছে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি। কার্যালয়ের দুই পাশেই ছিল পুলিশের সতর্ক অবস্থান। ভেতরে দেখা গেছে সাদা পোশাকধারী পুলিশ। দ্বিতীয় তলা ভেতর থেকে ছিল তালাবদ্ধ। যেখানে অবস্থান করছিলেন জিএম কাদের ও চুন্নু। আর কারা জিএম কাদেরের কক্ষে ছিলেন তা জানা যায়নি। জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতাদের আসনে নৌকা প্রত্যাহার না করায় হতাশ হয়ে বনানী কার্যালয় ছেড়ে যান সালমা ইসলাম, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ কয়েকজন নেতা। অজ্ঞাত কারণে জিএম কাদেরের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তারা। জাপা নেতারা জানান, আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির কয়টি আসন থেকে নৌকা প্রত্যাহার করেছে সেটি বিষয় নয়। বিষয় হচ্ছে, আসন সমঝোতা নিয়ে যাদের নামই ছিল না, তাদের আসনে কোন অলৌকিক ক্ষমতা বলে নৌকা প্রত্যাহার হলো। জাপা সূত্র জানায়, শেষ পর্যন্ত আরও ৫টি আসনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেওয়ার জন্য দলটি থেকে আওয়ামী লীগকে অনুরোধ করা হয়। এগুলো হলো- ঢাকা-৭, ঢাকা-৪, ঢাকা-১, ঢাকা-১৮ এবং নারায়ণগঞ্জ-৩। এই ৫ জনই বর্তমান সংসদ সদস্য। বিকালে অবশ্য ঢাকা-১৮ আসনে নৌকা প্রত্যাহার করে আওয়ামী লীগ। এছাড়া সন্ধ্যার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আব্দুল হামিদ ভাসানীর নাম পরিবর্তন করে রেজাউল ইসলাম ভূইয়াকে দলীয় লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ করে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির যে ২৬ আসনে নৌকা প্রত্যাহার করা হয়েছে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু, রংপুর-১ আসনে হোসেন মকবুল শাহরিয়ার, রংপুর-৩ আসনে জিএম কাদের, নীলফামারী-৪ আসনে আহসান আদেলুর রহমান, কড়িগ্রাম-১ আসনে মুস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম-২ আসনে পনির উদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সেলিম ওসমান, গাইবান্ধা-১ আসনে শামীম পাটোয়ারী, গাইবান্ধা-২ আসনে মোঃ আব্দুর রশিদ সরকার, সিলেট-৩ আসনে মোঃ আতিকুর রহমান, নীলফামারী-৩ আসনে রানা মোহাম্মদ সোহেল ও বগুড়া-৩ আসনে নুরুল ইসলাম তালুকদার।এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, চট্টগ্রাম-৮ আসনে সুলেমান আলম শেঠ, বগুড়া-২ আসনে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, সাতক্ষীরা-২ আসনে মো. আশরাফুজ্জামান, ফেনী-৩ আসনে মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ আসনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পটুয়াখালী-১ আসনে রুহুল আমিন হাওলাদার, ময়মনসিংহ-৫ আসনে সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ-৮ আসনে ফখরুল ইমাম, পিরোজপুর-৩ আসনে মো. মাশরেকুল আজম রবি, হবিগঞ্জ-১ আসনে মো. আব্দুল মুনিম চৌধুরী, মানিকগঞ্জ-১ আসনে জহিরুল আলম রুবেল ও বরিশাল-৩ আসনে গোলাম কিবরিয়া টিপু, ঢাকা- ১৮ আসনে শেরিফা কাদের।#


Create Account



Log In Your Account