চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক বছরে কৃষি প্রণোদনা পেয়েছেন ৭২,৪৮০ জন কৃষক

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সারাদেশের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জেও বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সরকারের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার প্রদান করা হয়েছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় কৃষি প্রণোদনা পেয়েছে মোট ৭২ হাজার ৪৮০ জন কৃষক। এইসব কৃষকদের মধ্যে মোট ৪২১.৬ মেট্রিক টন বীজ, ৫৭২.৪৩ মেট্রিক টন ডিএপি এবং ৫৬৪.৯ মেট্রিক টন এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে সরকারের কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ৫ হাজার ৬’শ জন কৃষকেকে ২৮ মেট্রিক টন মাসকালাইয়ের বীজ, ৫৬ মেট্রিক টন ডিএপি ও ২৮ মেট্রিক টন এমওপি বিতরণ করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ১ বিঘা জমির জন্য এসব উপকরণ দেয়া হয়।অন্যদিকে ১ হাজার ৫’শ জনকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বীজ (নাবী) ১.৫ মেট্রিক টন, ৩০ মেট্রিক টন ডিএপি ৩০ মেট্রিক টন এমওপি প্রদান করা হয়েছে। ১০ হাজার জনকে ২০০ মেট্রিক টন গম বীজ, ১০০ মেট্রিক টন ডিএপি, ১০০ মেট্রিক টন এমওপি প্রদান করা হয়েছে। ৩ হাজার ১’শ ৫০ জনকে ভুট্টা বীজ ৬.৩ মেট্রিক টন, ০.৬৩ মেট্রিক টন ডিএপি ও ৩১.৫ মেট্রিক টন এমওপি প্রদান করা হয়েছে। ২৭ মেট্রিক টন সরিষা বীজ বিতরণ করা হয়েছে ২৭ হাজার কৃষকের মাঝে এর সাথে ২৭০ মেট্রিক টন ডিএপি ও ২৭০ মেট্রিক টন এমওপি দেয়া হয়েছে।০.৫ মেট্রিক টন শীতকালীণ পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করা হয়েছে ৫০০ কৃষকের মাঝে এর সাথে ৫ মেট্রিক টন ডিএপি ও ৫ মেট্রিক টন এমওপি। ২.৪ মেট্রিক টন মুগ বীজ বিতরণ করা হয়েছে ৪৮০ জন কৃষকের মাঝে এর সাথে ৪.৮ মেট্রিক টন ডিএপি ও ২.৪ মেট্রিক টন এমওপি। ৪ মেট্রিক টন মসুর বীজ বিতরণ করা হয়েছে ৮০০ জন কৃষকের মাঝে। সেই সঙ্গে ৮ মেট্রিক টন ডিএপি ও ৪ মেট্রিক টন এমওপি রয়েছে। ২ হাজার ৮’শ কৃষকের মাঝে ২২.৪ মেট্রিক টন খেসারী বীজ, ২৮ মেট্রিক টন ডিএপি ও ১৮ মেট্রিক টন এমওপি বিতরণ করা হয়েছে।১ হাজার ৫’শ কৃষকের মাঝে ১.৫ মেট্রিক টন গ্রীষ্মকালীণ পেঁয়াজ বীজ, ৩০ মেট্রিক টন করে ডিএপি ও এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে।এছাড়া ১৯ হাজার কৃষকের মাঝে ৩৮ মেট্রিক টন বোরো হাইব্রিড ধানের বীজ, বিতরণ করা হয়েছে এবং রবি/সমলয় ৯০ মেট্রিক টন বীজ বিতরণ করা হয়েছে ১’শ ৫০ জন কৃষকের মাঝে। এর সাথে ৪০ মেট্রিক টন ডিএপি ও ৫০ মেট্রিক টন এমওপি বিতরণ করা হয়। প্রত্যেক কৃষককে ১ বিঘা জমির জন্য এইসব উপকরণ দেয়া হয়। প্রণোদনার বীজ থেকে সকল ফসলই ভালো হয়েছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে বিরাট সাফল্য এসেছে, প্রতি বিঘায় ১শ মণের অধিক ফলন পাওয়া গেছে। সরিষাসহ অন্যান্য ফসলও ভালো হয়েছে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক ড, পলাশ সরকার বলেন-আমাদের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা যেন বীজ ও সারের অভাবে জমি পতীত না রাখেন সেই জন্য সরকার বিনামূল্যে বিভিন্ন ফসলের বীজ ও রাসায়নিক সার প্রণোদনা দিচ্ছেন। সেই প্রণোদার বীজ সার ব্যবহার করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন এবং অধিকপরিমাণ ফসল উৎপাদন হচ্ছে। তিনি বলেন-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোপূর্বেই ঘোষণা দিয়েছেন কোনো জমি যেন পতীত না থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই নির্দেশনা আমরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।#